ঈদে বিষাদ, বিষাদময় ঈদ

লিখেছেন লিখেছেন একপশলা বৃষ্টি ০২ আগস্ট, ২০১৪, ০৩:৪১:০১ দুপুর

চারিদিকে দৌড়ঝাপ, চিৎকার চেঁচামেচি। ঘুমের ঘুরে বুঝতে পারছিনা কিছুই। মনটা কেন যেন অস্থির হয়ে উঠল।

বলে রাখা ভাল, তখন মাদরাসা ক্যাম্পাসে থাকতাম। ক্যাডেট-স্কুলের চে'ও বেশি কড়াকড়ি ছিল আমাদের ক্যাম্পাসে। গোসল, খাবার-দাবার, ক্লাস, বিশ্রাম, ঘুমুতে যাওয়া আর উঠা -সবই একটা নির্দৃষ্ট ছন্দে পরিচালিত হত। প্রতিদিন ফজরের পর তেলাওয়াত শেষে ক্লাসে জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই এসময়টা ঘুমানো দণ্ডনীয় অপরাধ ছিল। একান্ত প্রয়োজনে লুকিয়ে লুকিয়ে ঘুমাতে হত। তখন সুপারের প্যাদানি ছাড়া উঠার মানেই হল, একটা সুযোগ হাতছাড়া করা। এসব হাল্লা-চিৎকারেও যে উঠার কথা নয় -এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবু অনেকটা ইচ্ছার বিরুদ্ধে শরীর টেনে টেনে বারান্দায় এসে দাড়ালাম।

পাশেই প্রধান সড়ক আর রেল লাইন সাপের আদলে এগিয়ে চলেছে সিলেট শহরের দিকে।

সবাই ছুটছে সেদিকে। রেল লাইন ঘেঁষে এগিয়ে যাচ্ছে। আমিও ছুটে গেলাম। জটলা লেগে আছে সেখানে। একটু আগেই ট্রেন এ জায়গা ক্রস করেছে। তখন থেকেই এ জটলা। আমার পা আর সেদিকে এগুল না। শুধু কানে বাজতে লাগল, এক মায়ের কান্না -যিনি নিজের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। আর কল্পনায় ভেসে উঠল, এক বেদনার্ত প্রবাসি পিতার মুখ -যিনি সন্তানের সুখের জন্য বিদেশ-বিভূঁইয়ে হাঁড়ভাঙা খাটুনি খেটে যাচ্ছেন।

আজ সে বেদনা আমাকে নাড়া দিয়ে যায়।

বিষয়: বিবিধ

১১০০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

250159
০২ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৬
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : খুবই কষ্টের!
250162
০২ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো লিখাটি।
250176
০২ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৮
একপশলা বৃষ্টি লিখেছেন : ঘটনা খুবই ভয়াবহ ছিল। ১৪-১৫ বছরের একটি ছেলে। স্বচ্ছল মা-বাবার একমাত্র সন্তান। রেল লাইন ধরে হাঁটতে গেলে পেছন থেকে ট্রেন এসে ওর রানসহ অর্ধেক শরীর কেটে নেয়। ছেলেটি সবার সামনে ছটফট করতে থাকে। পরে হাসপাতাল নেবার পথে মারা যায়।
250245
০২ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
আফরা লিখেছেন : আল্লাহ মাফ করুন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File